আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল টেকনাফ উপকূল থেকে উদ্ধার করা প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা ও সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৮২ জন নারী, ১৫০ জন পুরুষ ও ৬৪ শিশু রয়েছে। বুধবার রাতে তাদের একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়। সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে তারা। প্রায় দুই মাস যাবত সমুদ্র ভেসে ছিল তারা। এই সময়ে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা অপুষ্টি ও ডিহাইড্রেশনে ভুগছে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক বিরাজ পাটনায়েককে বলেন, বাংলাদেশ এই প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করেছে দেখে স্বস্তি লাগছে। তারা গত দুই মাস সমুদ্রে ভেসে যে ভাগ্যপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে, সে বিবেচনায় তাদের তাৎক্ষণিকভাব খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে পালানো এই রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া থেকে নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছে।

তাদের আর কোথাও যাওয়ার নেই। বিভিন্ন দেশ তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানানো ও সমুদ্রে ৩২ জনের মৃত্যু এ ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পাটনায়েক বলেন, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে, উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা যেন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পায়। প্রয়োজনের সময় তারা যেন চিকিৎসাসেবা পায়। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ইতিমধ্যেই অনেক দুর্দশা সয়েছে। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার ছাড়া দুর্বল ও সংকুচিত শিবিরগুলোয় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031