আদার দাম ঢাকার বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে । দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার আগে আদার কেজি ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। এখন সেই পণ্যটি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।

জানা গেছে, করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর আদার দাম বেড়ে প্রথমে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এই মূল্য প্রায় এক মাস স্থির ছিলো। কিন্তু গত কয়েকদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম দিগুণ বেড়ে একলাফে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছেপণ্যটি।

ভোক্তাদের অভিযোগ, করোনা আতঙ্ক’ ও আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা আদার দাম বাড়িয়েছেন।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজারে আদার পর্যাপ্ত সরবরাহ হচ্ছে না। একইসঙ্গে সামনে রমজান উপলক্ষে চাহিদা বাড়ায় পণ্যটির দাম বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বাজারের তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে।

রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের ( টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। আর দেশি আদার দাম বেড়েছে ১০৯ শতাংশ।

রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে কেজিপ্রতি আদা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত মিয়ানমার ও চায়না থেকে আমদানি করা এবং দেশি এই তিন ধরনের আদা বাজারে পাওয়া যায়। ধরন ভেদে এই তিন জাতের আদার দামে প্রায় ৬০-৭০ টাকার পার্থক্য ছিলো। কিন্তু এখন পার্থক্য মাত্র ১০-২০ টাকা। দাম বাড়ায় পণ্যের মানের দিকেও লক্ষ করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাই সব ধরনের আদা চড়া দামে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

কাওরান বাজারের মসলা বিক্রেতা সবুজ হোসেন জানান, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন পাইকারি দরেই কিনতে হয়েছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা তা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। তিনি আরো বলেন, পাইকাররা বলছেন লকডাউনের কারণে আদার সরবারাহের ঘাটতি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা যাচ্ছে না। তাই আদার সংকট তৈরি হয়েছে।

আলামিন নামের একজন ক্রেতা জানান, যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং করা হয় না বলেই পণ্যের দাম নিযন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031