কনের বাড়িতে হাজির বরপক্ষও। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনে সেখানে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি বুঝতে পেরে মঞ্চ থেকে নেমে বাড়ির পেছন দিয়ে দৌড় দেয় বর। তার সঙ্গে মেয়ের বাবাও দৌড় দেয়। শেষ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ করে দেয় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে গণজামায়েতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বিয়ের অনুষ্ঠান করায় অর্থদণ্ড করা হয় কনের মাকে।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে মহতাপুর গ্রামের মৌলভী সাহেবের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন ও আসাদুজ্জামান রনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় মহতাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও নোয়াখালী মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে বিয়ের আসর থেকে বর ও মেয়ের বাবা পালিয়ে যায়। বিয়ে বাড়িতে যত্রতত্র খাবার ও চেয়ার টেবিল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিয়ের আসর থেকে মেয়ের বাবা ও বর পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে তার মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে লোকজনের সমাগম করার অপরাধে মেয়ের মাকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।