ঢাকা : আটক ‘জঙ্গি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পর হাতেনাটে আটক শরিফুল ইসলাম ওরফে সোহান প্রায় আড়াই বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহানের গোটা পরিবার জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত।
আটক ‘জঙ্গি’র বাবা পেশায় রেডিও-টিভি’র ইলেক্ট্রট্রিক মিস্ত্রি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার ঘটনায় করা একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় তিনি নিজেও বাড়িতে থাকেন না।
ঈদের দিন শোলাকিয়া ময়দানের অদূরে দুই পুলিশকে হত্যার পর সোহান আটক হওয়ার খবরে আত্মগোপন করেছেন তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ‘জঙ্গি’ শরিফুল বর্তমানে র্যাবের অধীনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের পাশে প্রত্যন্ত গ্রাম দক্ষিণ দেবীপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বাড়িতে সোহানের মা ও দুই বোন ছিলেন। কিন্তু, সন্ধ্যায় শোলাকিয়ার হামলার ঘটনায় সোহানের সম্পৃক্ততার কথা জানাজানি হওয়ায় রাতেই তারা বাড়ি ছাড়েন।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সোহানের মূল বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামে। তবে ৫ বছর ধরে তারা বসবাস করছেন রানীগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দেবপুর গ্রামে। দাখিল পাস করার পর থেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন সোহান। তিনি বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসায় পড়তেন।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সোহানের এলাকায় গিয়ে তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে। এ সময় সোহানের চাচাতো ভাই এনামুল হককে আটক করে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সোহানের বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোহান দাখিল পাস করার পর থেকেই নিরুদ্দেশ ছিলো। তার মা শিউলী বেগম এবং বোনও শোলাকিয়ার ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়েছেন। তাদের অনুসন্ধান চলছে’।