প্রথম একুশ দিনে দিনপ্রতি ভারতের ক্ষতির পরিমান চল্লিশ হাজার কোটি টাকা সর্বভারতীয় বাণিজ্য চেম্বার ফিকি জানিয়ে দিল করোনা লকডাউন এর । একুশ দিনের লকডাউন এ আট লক্ষ কোটি টাকা। সম্ভবত তলানিতে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয় অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করার জন্যে কুড়ি এপ্রিল থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি দরকার। উপায়ও অবশ্য কিছু নেই। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে যে লকডাউন এর প্রভাব ভারতের জিডিপি এর ওপর প্রভাব পড়বে দুশো বেসিস পয়েন্ট এর। ২০২০-২১ সালের জিডিপি দাঁড়াবে ০.০৭ যা অর্থনীতিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় মোদি সরকারকে নোট ছাপার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি দেশের অর্থনীতিকে আরো পঙ্গু করতে পারে বলে মোদি সরকার সে পথে না হেঁটে লকডাউন এর এক্সিট পলিসি বের করছে।
কুড়ি এপ্রিল থেকে অনেকগুলি ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন উঠছে। অনেক মানুষ অবশ্য এখনো সন্দিহান। তারা বলছে, নোটবন্দি, ঘরবন্দির পর এবার কি ফন্দি?