দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায়। দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পের কারখানাগুলোর ক্রয়াদেশ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কারখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখনো বেতন পাননি অর্ধেকের বেশি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
আজ সোমবার পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশে ২ হাজার ২৭৪টি কারখানার মধ্যে বেতন দেয়া হয়েছে মাত্র ৯১৭টির। এ পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ শ্রমিকের বেতন দেয়া হয়েছে। তবে এখনো অর্ধেকের বেশি কারখানায় বেতন দেয়া বাকি রয়েছে।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এর মধ্যে অবস্থিত ৩৭২টি কারখানার মধ্যে বেতন দেয়া হয়েছে ১২৪টি কারখানার। গাজীপুরের ৮১৮টি কারখানার মধ্যে বেতন দেয়া হয়েছে ৩৫৯টি কারখানার। সাভার-আশুলিয়ার ৪৯১টি কারখানার মধ্যে বেতন দেয়া হয়েছে মাত্র ২০৭টি কারখানার।
নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টি কারখানার মধ্যে ৮২টির বেতন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ৩২৪টি কারখানার মধ্যে ১১৪টির বেতন দেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অবস্থিত ৪২টি কারখানার মধ্যে ৩১টির বেতন দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, আগামী ১৬ই এপ্রিলের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হবে। এ নির্দেশ না মানলে বা উক্ত তারিখের মধ্যে বেতন দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে রোববার বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমরা আশাবাদী ১৬ই এপ্রিলের মধ্যে ৮০ শতাংশ পোশাক কারখানায বেতন দিয়ে দিতে পারবে। তিনি কারখানা মালিকদের বেতন দেওয়ার তারিখ নির্দিষ্ট করে কারখানার বাইরে নোটিশ দেয়ার অনুরোধ করেন।