চট্টগ্রাম : মুজিবুল চৌধুরী নবাব চট্টগ্রামের পটিয়ার সরকার দলীয় এমপি শামসুল হক চৌধুরীর ভাই হকহাইওয়ে পুলিশের একজন উপসহকারী পরিদর্শককে (এএসআই) মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মারধরের শিকার এএসআই জাকির হোসেন পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। মারধরের বিষয়টি তিনি হাইওয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং পটিয়া থানাকে অবহিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আমিনুল ইসলাম।
এস আই আমিনুল বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে এমপি সাহেবের ভাই হাইওয়ে পুলিশের একজন এএসআইকে পিটিয়েছেন। আমি বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছি।
শুক্রবার বিকেল থেকেই নগরীর তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু দিয়ে ক্রসিং হয়ে পটিয়া পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির জট রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
এএসআই জাকির হোসেন বলেন, রাত ৮টার দিকে তিনি শান্তিরহাট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। যানজটের মধ্যে আটকে থাকা একটি গাড়ি থেকে হঠাৎ নেমে আসেন এক ব্যক্তি। তিনি এসেই তার ইউনিফর্মের কলার ধরে তাকে চড়-থাপ্পড় দিতে শুরু করেন। এসময় ওই ব্যক্তি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিও দিতে থাকেন।০৮ জুলাই (সিটিজি টাইমস)
তিনি আরো বলেন, আমি বারবার বলতে থাকি, ভাই আমার অপরাধ কি? তিনি কোন কথা না বলে আমাকে মারতে থাকেন। এই ঘটনার ৪৫ মিনিট পর আবারো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। কয়েকজন আমার গলা টিপে ধরেন। পরে গাড়ি চলাচল শুরু হলে তিনি গাড়িতে উঠে চলে যান।
পরে কয়েকজন এসে গাড়ি থেকে নেমে আসা ব্যক্তি সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী নবাব বলে তাকে জানিয়েছেন বলে জানান এএসআই জাকির।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ জিল্লুর রহিম বলেন, এমপি সাহেবের ভাই নবাব আমাদের এএসআইকে পিটিয়েছে। বিষয়টি আমরা আমাদের এএসপি মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি যদি মামলা করতে বলেন তাহলে আমরা মামলা করব। তবে পটিয়া থানাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্যের ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী নবাব বলেন, আমি পুলিশকে মেরেছি কিনা সেটা আপনাকে যারা বলেছে তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন। পারলে আপনি আমার বিরুদ্ধে বড় করে নিউজ করে দেন। আপনি যখন তথ্য পেয়েছেন নিউজ করেন। সত্য-মিথ্যা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?
এক পর্যায়ে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।