প্রথমবারের মতো এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে যশোরে । তিনি মণিরামপুরের স্বাস্থ্যকর্মী। রবিবার সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মণিরামপুরে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া ওই স্বাস্থ্যকর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি ঝাঁপা ইউনিয়নে কর্মরত। বর্তমানে তিনি মুজগুন্নি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ায় সেই ভাড়াবাড়ি, মশ্মিমনগরে তার নিজের বাড়ি এবং মুজগুন্নিতে শ্বশুরবাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোর জেলায় মোট ১০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৩২ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে এবং মৌখিকভাবে খুলনা থেকে জানানো হয়েছে একজনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যকর্মী। তাকে সিভিল সার্জন অফিসে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে তার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মী যাদের সঙ্গে মিশেছেন সেই ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হবে।
মণিরামপুর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আনিসুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘মণিরামপুর হাসপাতালে পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ রয়েছে। আমরা দুইজন ল্যাবে নমুনা সংগ্রহের কাজ করি। কিন্তু আমাদেরকে মাত্র একটি পিপিই দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো এন-৯৫ মাস্ক দেননি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ। বিষয়টি তাকে জানানো হলেও তিনি মাস্ক দেননি। বরং চাকরির হুমকি দিয়েছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করছি। তবে আনিসুজ্জামানের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ।