বিশ্ব ব্যাংক এর পরের অর্থবছরে আরও কমতে পারে প্রবৃদ্ধি এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
রবিবার বিশ্বব্যাংকের এক আঞ্চলিক আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। তবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। পরবর্তী অর্থবছরে (২০২০-২১) প্রবৃদ্ধির পরিমাণ আরও কমতে পারে। এ সময় ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টভিগ শ্যাফার বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকারের জন্য অগ্রাধিকার হলো ভাইরাস যেন না ছড়িয়ে পডে সে ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া। জনগনকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া। বিশেষত দরিদ্ররা এ সময় স্বাস্থ্য ঋুকিতে থাকে, অর্থনৈতিকভাবে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল দেশগুলিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জোরদার করতে আগামী ১৫ মাসের মধ্যে ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তায় দিবে।
বাংলাদেশে ছারাও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ , শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানে করোর প্রভাবে জিডিপিতে কেমন ক্ষতি হতে পারে তার পূর্ভাবাস দেয় বিশ্ব ব্যাংক।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ হলো, ‘করোনা মহামারী থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে এ জন্য জরুরি ভিক্তিক স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সরকারকে স্বাস্থ্য খাতে জরুরী ভিত্তিক পদক্ষে নিতে হবে। তাদের জনগণ, বিশেষত যারা দরিদ্রমানুষ এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ।’