চট্টগ্রাম : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামী কামরুল ইসলাম প্রকাশ মুছাকে তার বড় ভাই সাইদুল হক সিকদার সাকুসহ পুলিশ ১৩দিন আগে গ্রেফতার করেছে ।
সোমবার(৪ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন মুছার স্ত্রী পান্না আকতার।
মুছার স্ত্রী পান্না জানান, ২২জুন (বুধবার) সকাল ৭টার দিকে বন্দর এলাকার আমাদের পরিচিত ড্রাইভার নুরুন্নবীর বাসা থেকে আমার ভাসুর সাইদুল হক সাকু ও স্বামী কামরুল ইসলাম সিকদার মুছাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
“সেখানে পুলিশদের মধ্যে উপস্থিত ওসি মহিউদ্দিন সেলিম ও নেজাম উদ্দিন ছিলো, পুলিশরা নিজদের মধ্যে কথা- বার্তা বলার সময় এই দুইজন সেখানে আছেন এটা জেনেছি, উল্লেখ করেন পান্না।
তবে, পান্না আক্তারের এই দাবি মিথ্যা উল্লেখ করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেলিম বলেছেন, “আমি তো এই মামলার তদন্ত করছিনা, অামি কেন তাকে গ্রেফতার করতে যাবো?
সংবাদ সম্মেলনে পান্না আক্তার বলেন, “প্রথমে পুলিশ ভাসুর সাইদুল হক সাকুকে নিয়ে যায়, এর আধাঘন্টা পর পুলিশ মুছাকে নিয়ে যান। মুছাকে নেওয়ার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয় আমাদের, দুই ছেলেসহ আমাকে পুলিশ নজরদারীতে রাখে।”
‘ ২-৩দিন পর বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহন করেনি, বাকলিয়া থানা পুলিশ বলেন যে থানা থেকে মুছাকে ধরা হয়েছে সেই থানা থেকে ডিজি করতে হবে, উল্লেখ করেন পান্না।
তিনি আরো বলেন, মিতু হত্যা মামলায় যতজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়েছে, এখন প্রশাসন থেকে বলছে মুছাকে গ্রেফতার করা যায়নি, ২২জুন মুছাকে গ্রেফতার করার পর ২৩-২৪ জুন টিভিতে হেডলাইনে দেখায় ‘মুছা গ্রেফতার’ পুলিশ প্রথমে বলেছিল ‘মুছাকে গ্রেফতার করছে পরে বলছে গ্রেফতর করেনি’।
“মুছা’র বিষয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাস করলে কেউ কেউ বলে সে দেশের বাহিরে চলে গেছে, সে কিভাবে বিদেশ যাবে পাসপোর্ট ভোটার আইডি কার্ড আমার কাছে রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি”।
তিনি আরো বলেন, “কিছু দিন আগে শুনেছি বাবুল আক্তার স্যারের মুখোমুখি করার জন্য মুছা সহ চারজনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।কিন্তু বাকি তিনজনকে আদালতে তুললেও মুছাকে কোথায় রেখেছে তারা।”
“সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি মুছাকে আমি জীবিত চাই, আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আমার স্বামী যদি দোষ করে তাহলে আইন আছে, আদালত আছে, আদালতে মুছাকে হাজির করা হোক, উল্লেখ করেন তিনি’।
তিনি আরো বলেন, মুছা বিএনপি করে, সে ২০০১ সাল থেকে গাছের ব্যবসা করছে, ২০০৩ সাল থেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করছে, এখন সে বালুর ব্যবসা করে, বাবুল আক্তার, ওয়াসিম,ভোলা এদের আমি ছিনিনা।
মুছা বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা করতে পারে না, কেন হত্যা করবে সে।যদি হত্যা করে থাকে তাহলে তাকে আদালতে হাজির করা হোক তার পিছনে কে আছে সব বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
গত ৫জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে বাসার কাছে দুবৃৃত্তদের হাতে খুন হয় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু্ এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ওয়াসিম ও আনোয়ার নামের দুই আসামী অাদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে মুসাকে এই হত্যাকান্ডের প্রধান সমন্বয়কারী বলে উল্লেখ করেছে।