ঢাকা : বন্দুকযুদ্ধে নিহত চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার দুই আসামি মো. নূরুল ইসলাম রাশেদ ও নবী ওরফে নূরুন্নবী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ঠান্ডাছড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
রাশেদ ও নবী দুজনের বাড়িই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে। এদের মধ্যে নবী কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয় বলে আদালতে দেয়া দুই আসামির জবানবন্দিতে স্বীকার করেন। আর রাশেদ কিলিং মিশিনের সময় ঘটনাস্থলে থেকে খুনিদের সহযোগিতা করেছিল।
গত কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দুজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার তা অস্বীকার করা হয়। এ নিয়ে ধূম্রজালের মধ্যেই রাতে দুইজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান জানান, মিতু হত্যায় অংশ নেয়া মুছা, রাশেদ, নবীসহ কয়েকজন রাণীরহাট এলাকায় অবস্থান করছিল এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলি। তখন তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি। এতে রাশেদ ও নবী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
বন্দুকযুদ্ধের সময় নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আজহার, ইমাম ও সিকান্দার আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। তাদের নগরীর দামপাড়ায় পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, একটি এলজি, দুটি কিরিচ ও পাঁচ রাউণ্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। পরে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া শাহজাহান, ওয়াসিম, আনোয়ার, এহতেশামুল হক ভোলা, মনিরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।