চট্টগ্রাম :কলিয়াসহ বা বেশ কিছু এলাকার মানুষ সাময়িকভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ,দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, হালিশহর, সিডিএ আবাসিক, আরাকান রোড, চকবাজার,।
এতে রমজানের দিনে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন নিচতলার বাসিন্দারা।
অনেকে ঈদের কেনাকাটাসহ জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও মাঝপথে হতাশ হয়ে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে নগরীর ফুটপাতের ঈদবাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকাটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
বন্দর রিপাবলিক ক্লাবসংলগ্ন এলাকায় পাম্পহাউসসহ অস্থায়ী বাঁধের কার্যকারিতা না থাকায় মহেশখালের দুকূল ছাপিয়ে নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। খালের আশপাশে বেশকিছু কাঁচা ঘরে হাঁটুপানি জমে যায়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ কর্মকর্তা মেঘনাদ তঞ্চ্যঙ্গা জানান, বিকেল তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হযেছে।বাংলাদেশ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি সামান্য উত্তর দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎ সংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত রয়েছে। মাছধরার ট্রলার ও নৌকাকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মুশফিকুর রহমান সোমবার (৪ জুলাই) জানিয়েছেন, সকাল নয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয় ১৬৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।