ব্যাংকাররা রবি – বৃহস্পতিবার প্রতিদিন ঘর থেকে বের হয়ে অফিসে যাচ্ছেন। আচ্ছা – ব্যাংক বন্ধ রাখলে কি দেশের খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে? আবার ফিরে আসছেন বাসায়। ফলে তাদের ঝুঁকি বাড়ছে বলে আমার মত।
তাছাড়া প্রয়োজনে – অপ্রয়োজনে, নানা অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেই। ঠেকানো যাচ্ছে না কোনভাবেই। তার উপর ব্যাংক খোলা! আচ্ছা, মানুষ প্রতিদিনই কি ব্যাংকিং ট্রানজেকশন করছেন – বিষয়টি বুঝতে পারছি না।
করোনা নিয়ে এতো প্রচার-প্রচারণার মধ্যেই গতকাল ফেসবুকে দেখলাম একটি উপজেলায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য মানুষ যেন মিলনমেলায় আবদ্ধ হয়েছে! তাদের মাঝে ছিলো না কোনো দূরত্ব। ছিলো না কোনো মাস্কও।
এভাবে চলতে থাকলে ব্যক্তির দূরত্ব বা সামাজিক দূরত্ব কার্যক্রম বা ঘরে থাকা কার্যক্রমে সুফল আসবে বলে মনে হয় না। কারণ এ মানুষগুলো এবং ব্যাংকাররা কোনো কোনো রাস্তা দিয়ে যানবাহনে চড়ে তারা তাদের বাসা বাড়িতে যাবেন – এটাই স্বাভাবিক। আবার তাদেরও তো সংসার রয়েছে।
আল্লাহ না করুন কারো শরীরে যদি এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে এ ভাইরাসটি ছড়াতেই পারে। সেখানে অনেক লোকের বসবাস থাকতেই পারে। ফলে করোনা মোকাবেলায় নেওয়া নানা আয়োজন ভেস্তে যেতে পারে।
আশঙ্কা দেখা দিতে পারে ব্যাপক কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের। এদিকে জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্হা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে মর্মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ এপ্রিল জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি কেমন যেন মনে হচ্ছে! আচ্ছা – ব্যাংক বন্ধ রাখলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে দেশের?