মাস্কের বাজারেও আকাল। বাজারে মাস্ক পাওয়া গেলেও দাম দ্বিগুণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হতে না হতেই বাজার থেকে উধাও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এই পরিস্থিতিতে বাজারের ব্যাগ, পুরোনো গামছা ও শাড়ির টুকরো দিয়ে মাস্ক তৈরি করল ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের লক্ষ্য সহজলভ্য মাস্ক তৈরি করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

যাদবপুরের সেন্টার ফর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট সোশ্যাল টেকনোলজিসের অধ্যাপক-গবেষকরা বাড়িতে বসেই সস্তায় মাস্ক তৈরির পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই প্রতিষ্ঠানের তরফে এখনই সেই মাস্ক তৈরির ঝক্কি নেওয়া সম্ভব না হলেও পড়ুয়া, গবেষক ও শিক্ষকদের একটি অংশ এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘পড়াশোনা, সাফল্য, আন্দোলনের পরেও যাদবপুর সব সময় সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য দায়বদ্ধ।

এই মাস্ক তৈরির কাজ তদারক করেছেন যাদবপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক স্বর্ণেন্দু সেন। তিনি জানান, বাজারের জন্য ব্যবহৃত এক রকমের ব্যাগে পলিপ্রোপাইলিন থাকে। যা পানি আটকাতে সাহায্য করে। মাস্কের বাইরে এবং একদম ভেতরের স্তরে এই ব্যাগ বা পলিপ্রোপাইলিন থাকবে। মাঝখানে পুরোনো সুতি, তা গামছা বা শাড়ি যা খুশি হতে পারে, তা থাকবে।

মেকানিক্যালের শিক্ষক সৌরভ সরকার পড়ুয়াদের সঙ্গেই কমিউনিটি কিচেন ও স্যানিটাইজার বিলির উদ্যোগে যুক্ত। সৌরভ বলেন, ‘আপাতত যাদবপুরের দু’জন দর্জির সঙ্গে আমরা কথা বলে প্রথম দফায় ২০০টি মাস্ক তৈরি করে বিলি করব।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031