গুল্টা শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের গেট ধসে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ১৫ দিনেও জমা না দেয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার । তদন্ত কমিটি অবশ্য বলছে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সাত কার্যদিবসে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তদন্তের সঙ্গে জড়িত এমন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
গত ১৭ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার গুল্টা শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের গেট ধসে পরে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। আহত হন আরো পাঁচজন। ওইদিন ছিল গুল্টা হাটবার। হাটে আসা লোকজন রোদ থেকে বাঁচতে কলেজ গেটের ছায়ায় আশ্রয় নিলে হঠাৎ গেটধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ একক সিদ্ধান্তে সৌন্দর্য বর্ধন কারার জন্য তিন মাস আগে পাকা গেটটি নির্মাণ করেন। নিম্নমানের কাজ করার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহ্বায়ক এবং তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলীকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় এই কমিটিকে।
অন্যদিকে ১৮ মার্চ রাতেই তাড়াশ থানায় একই ঘটনায় নিহত গাবরগাড়ি গ্রামের তোজাম্মেল হকের জামাতা আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী মানববন্ধন করে অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদের বিচার দাবি করেন। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এদিকে একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তবে মামলার তদন্ত কমিটির সদস্য তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, অফিস ছুটি থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হয়নি। করোনার অভিঘাত শেষ হলেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
তাড়াশ থানার ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, তার থানায় করা মামলাটি এখনো তদন্ত চলছে।