সরকার দুশ্চিন্তায় পড়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে দেশের যখন টালমাটাল অবস্থা তখন কয়েকটি দেশ সেখানে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামলানো যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।
রবিবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খুব বেশি দেশ প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে আবেদন করেনি। মাত্র চার পাঁচটি দেশ আবেদন করেছে। কিন্তু আমাদের সংখ্যাতো অনেক বেশি। একটি দেশও যদি হয় অনেক লোক হয়ে যায়।’
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পদক্ষেপ নিয়ে মোমেন বলেন, ‘এই দুর্দিনে কয়জনকে ফেরত আনবো তা নিয়ে আমরা আজ বসেছি। বুঝে শুনে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে বলবো, আমাদের অসুবিধা, তোমাদেরও অসুবিধা। মানবাধিকার বিষয়টি সামনে এনে এদের তোমরা সাহায্য করেছ, আরও করো। তাহলে আমরা খুশি হবো।’
কোন কোন দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে চায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাত্র একটি দেশের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘কত বাংলাদেশি ফেরত পাঠাতে চায় এখনই সংখ্যা জানাতে চাই না। তবে একটি দেশের কথা বলতে পারি। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন তার দেশে বিপুল বাংলাদেশি কর্মী আনডকুমেন্টেড।’
‘এখন যেহেতু তাদের পর্যটন বা রেস্টুরেন্টে কাজ করছে না তাই শুধু বৈধদের তারা সাহায্য করছে। কিন্তু যারা আনডকুমেন্টেড আছে তাদের কষ্ট হচ্ছে। মালদ্বীপ সেখানে বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন করতে বলেছে। এদের মধ্যে অনেককেই ফেরত পাঠাতে পারে।’
বিদেশে অবস্থানরত আনডকুমেন্টেড কর্মীর জন্যই এই সমস্যা মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘যে সব দেশ আমাদের জানিয়েছে বাংলাদেশিদের ফেরত না নিলে তাদের অসুবিধায় ফেলবে তাদেরটাই আমরা প্রথমে ধরবো। মূলত এসব আনডকুমেন্টেড কর্মীর জন্যই হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন চাপের মুখে আছি। তবে সব দেশই চাপের মধ্যে আছে। সেজন্য এটি বড় সমস্যা নয় কিন্তু কঠিন সময়ে আছি।’