বিশৃংখলা করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমনের ঝুকি সামলাতে সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখার কঠোর অবস্থানের পর ও গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলোতে রয়েছে । অধিকাংশ কারখানাই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিশোধ করা হয়নি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা। আবার কিছু কিছু কারখানা পিপি কিংবা মাক্স তৈরীর কথা বলে এবং নানা বাহানায় খোলা রাখা হয়েছে। আবার এমনও কারখানা রয়েছে যেখানে বেতন-ভাতাদি না দিয়ে একমাসের ছুটি ঘোষণা করলে সেখানে শ্রমিক বিক্ষোভ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় অসংখ্য শ্রমিক নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ফিরছেন তাদের গ্রামের বাড়ি।
দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সংকটজনক অবস্থায়ও গাজীপুর মহানগর ও জেলা জুড়ে খোলা রয়েছে শতাধিক শিল্প কারখানা। সকালে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় আসলেও বিজিএমইএ এর সভাপতির আহবানে সাড়া দিয়ে ছুটি দেওয়া হয় অধিকাংশ কারখানা। ছুটি ঘোষনা হয়েছে এমন কয়েকটি কারখানা শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে শ্রমিকদেও হাজিরা কার্ড জমা রেখে ছুটি ঘোষনা করছেন। আর বেতন না দিয়ে মোবাইলে বেতন পাঠানো হবে বলেও বলছেন কতৃপক্ষ। হাজিরা কার্ড কতৃপক্ষের কাছে রেখে দেওয়ায় বেতন পাবে কিনা বা করোনা সংকট লাঘব হলে তাদের কে আবারো চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কিনা, এমন দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা।
আবার অনেক পোশাক শিল্প কারখানা খোলা রেখেছে। অপরদিকে, গাজীপুরের কামারজুরী এলাকার একটি সোয়েটার কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে কারখানায় কর্মরত হাজারো শ্রমিক বিক্ষোভ করে।
একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কারখানা ছুটি ঘোষণা খবর পেয়ে অসংখ্য শ্রমিক পেতে থাকেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের গ্রামের বাড়িতে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ঘরে ফেরা পোশাকশ্রমিকদের অনেকেই পিকআপ ভ্যান- ট্রাক কিংবা কাভার্ড ভ্যানে চড়ে, এমনকি ছোট ছোট হালকা যানবাহন ছেড়ে দূর-দূরান্তের পথে রওনা হয়েছেন । এসব যানবাহনের বাড়ি ফেরার পথে কোথাও কোথাও আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েছে তারা। বাধার মুখে পড়ে ট্রাক-পিকআপ সহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নেমে তারা পায়ে হেঁটেই আবার রওনা দিয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। কিছু পথ পায়ে হেঁটে আবারো কোন না কোন যানবাহনে চড়ে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে। এমনি করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে ছূটছেন তারা। অধিকাংশ কারখানা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।