পরিবহন বন্ধ। কাল থেকে কিছু গার্মেন্ট ও কলকারখানা খুলছে । বাড়ি এসে আটকে পড়া মানুষ কাজে যোগ দিতে ঢাকায় পৌছুতে নিরন্তর প্রচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা হেটে, ভ্যানে করে, অটো রিকসায় করে বা ট্রাকে করে, মাইক্রোবাসে উঠে মাওয়া ঘাটে পৌছুনোর চেস্টায় বাধা হচ্ছে পদে পদে। কাজে যোগ দিতেই হবে, এ পরিস্থিতিতে বরিশাল নগরের রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল এলাকায় ঢাকাগামী মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় শনিবার (০৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সব বাঁধা উপেক্ষা করে বিকল্প পথে এসব মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
ঢাকাগামী এসব যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করার পর তারা দেশের বাড়িতে ফিরেছিল। তবে ৫ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস ও কতিপয় বেসরকারি কোম্পানীর অফিস খেলার ঘোষণা দিয়েছে। এখন চাকুরী টিকিয়ে রাখতে তাদের কষ্ট করে কখনো পায়ে হেটে, কখনো মোটরসাইকেল, কখনো ভ্রানসহ বিভিন্ন থ্রি হুইলার অথবা ট্রাকে চেপে বাড়তি ভাড়া গুণে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হচ্ছে।
আর এক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি তেমন ভ্রুক্ষেপ করছেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে গনজমায়েত বন্ধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতের লক্ষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা বরিশাল অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হুদা জানান, এ পর্যন্ত এক দোকান মালিকসহ ১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। অপরদিকে পুরিশও চেষ্টা করছেন যাতে করে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকে। তাই বাসস্ট্যান্ডসহ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করা নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সুজিত কুমার জানান, তারা চেষ্টা করছেন যাতে করে একজায়গায় অনেক মানুষের ভিড় না হয়। এদিকে এ ঘটনা কেবল বরিশাল নগর নয়, বিভাগের অনান্য উপজেলায় থাকা বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।