গার্মেন্ট আগামীকাল থেকে খুলছে । বন্ধ হওয়ার সময় যারা বাড়ি আসছিলেন, তাদের ফিরতে হচ্ছে। এখনো চলছে সাধারণ ছুটি। সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এরই মধ্যে গার্মেন্ট চালুর ঘোষণা হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গার্মেন্ট কর্মীরা। মাসের শেষের দিকে গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেতন ছাড়াই ফিরতে হয়েছে তাদের। এখন যদি কাজে না ফিরে তবে কাজ না পাওয়ার রয়েছে শঙ্কা।
তাছাড়া না গেলে পাবে না গত মাসের বেতনও। তাই ঝুঁকি নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে সাধারণ ছুটি। বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার সব যানবাহন। তাই ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। আর পথে পথে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। একে তো যানবাহন নেই তার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাঁধা। এতে চরম ভোগান্তি নিয়েই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে তাদের।
ময়মনসিহের নান্দাইল থেকে পাকুন্দিয়া হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ওই এলাকার কয়েকজন। যারা ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্ট কাজ করেন। তারা বলেন, সকালে রওনা হয়েছি। রাস্তায় বড় কোন গাড়ি নেই। অটো, সিএনজি দিয়ে একটু একটু এগুচ্ছি। কিন্তু পথে পথে পুলিশী বাধার কারণে বারবার গাড়ি পাল্টাতে হচ্ছে। এতে করে সময় যেমন বেশি লাগছে ভাড়াও তেমি কয়েকগুণ বেশি গুনতে হচ্ছে। ঢাকা যেতে আর কত সময় লাগবে আর টাকাও কত খরচ হবে তাও ভেবে পাচ্ছি না।
আরও কয়েকজন গার্মেন্টকর্মী জানান, গত মাসে বেতন পাননি। এরই মধ্যে কাল থেকে চালু হচ্ছে গার্মেন্ট। তাই কাজে ফেরা ছাড়া উপায় নেই। তাই ভোগান্তি পোহালেও যেতে হবে।
কয়েকজন গার্মেন্টকর্মী বলেন, যেহেতু সব গার্মেন্ট খোলা হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত গার্মেন্ট কর্মীদের যাতায়াত নিশ্চিত করা।