করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর মেশিন স্থাপনের পরপরই স্বস্তির স্থলে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ বিভাগের এক চিকিৎসক চাকরি ছাড়ার আবেদন করেছেন শেবাচিম হাসপাতালে । বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজী বিভাবে একটি অত্যাধুনিক পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। দেশের সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপুর্ন এ কার্যক্রম চালিয়ে যাবার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাইক্রোবায়োলজী বিভাগকে।কোভিড পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে। সেই আতঙ্কের কারণেই স্বেচ্ছায় চাকুরি থেকে অবসর গ্রহনের আবেদন জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম.টি জাহাঙ্গীর হুসাইন। তবে চলমান করোনা দুর্যোগ মোকাবেলার স্বার্থে তার ওই আবেদনটি গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আকবর কবির বলেন, মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধানের স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন সম্পর্কে জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি। তবে মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম.টি জাহাঙ্গীর হুসাইন স্বেচ্ছায় অবসরে যাবার সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার চাকুরির মেয়াদ আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কারণে পরিবারের চাপের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহনের আবেদন করেছি। কিন্তু মাইক্রোবায়োলজী বিভাগেও জনবল নেই।
আমি এবং অপর একজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছে। আমি অবসরে গেলে এই মুহুর্তে সে ভয় পেতে পারে বলেই পরে আবার সিদ্ধান্ত পাল্টেছি। আর কর্তৃপক্ষও এই পরিস্থিতিতে আবেদনটি গ্রহন করেননি।