চট্টগ্রাম : আজ ২৬ রমজান।ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থ রাত্রি এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা। এই দুটি শব্দ মিলিয়ে লাইলাতুল কদর অর্থ অত্যন্ত সম্মানিত বা মহিমান্বিত রজনী।
মুসলিম উম্মাহর কাছে লাইলাতুল কদর অতিশয় মর্যাদাপূর্ণ একটি পবিত্র রজনী। পবিত্র কোরআনে এই রাতের গুরুত্ব তুলে ধরে সুরা কদর নামে একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। তাতে এই মহিমান্বিত রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে ইরশাদ করা হয়েছে।
কোরআন নাজিলের মাস মাহে রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোর কোনো একটিই এই পুণ্যময় লাইলাতুল কদর। তবে ওলামায়ে কেরাম মনে করেন, রমজান মাসের ২৬তম দিনের শেষের রাতটিই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। সেই হিসাবে এই রাতটিকেই লাইলাতুল কদর ধরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম নর-নারীরা সারা রাত নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আসকারে মগ্ন থাকেন।
এই এক রাতে ইবাদতের বিনিময়ে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াবের চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
হাদিস শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, একদিন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভেবে অস্থির হচ্ছিলেন যে, আগের নবীর উম্মতেরা দীর্ঘ হায়াত পেত। ফলে তারা অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ পেত। কিন্তু শেষ নবীর উম্মতের হায়াত খুবই সীমিত। অতএব তাদের পক্ষে উচ্চমর্যাদা লাভের সুযোগ কম।
তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সূরা কদর নিয়ে উপস্থিত হন হজরত জিবরাইল (আ.)। আল্লাহ তায়ালা এ রাতেই কুরআন নাজিল করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনি এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলেও ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু কদরের রাত কোনটি তা সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেননি আল্লাহপাক। হাদিস শরিফেও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোনটি কদরের রাত।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত অনুসন্ধান করবে।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশের মুসলিম নর-নারীসহ মুসলিম উম্মাহর সবাইকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা দেশ, জাতিসহ গোটা বিশ্বের মঙ্গল কামনা করেছেন।