করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘর মুখি মানুষ। আতঙ্কের নাম এখন করোনা। সকল প্রকার গণসমাবেশ নিষেধাজ্ঞা। বন্দ রয়েছে ধর্মীও সভা, সমাবেশ। বুধবার চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রে অনুষ্ঠিত অষ্টমীর স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিছিন্ন ভাবে ব্রহ্মপুত্রের তীড়ে জমায়েত হয় এবং স্নান উৎসবে যোগদেন হিন্দু পূণ্যার্থীরা। যদিও প্রশাসন ছিল সজাগ। প্রশাসনের নজর এড়িয়েও অনেকে খুব ভোরেই স্নান সেরে নিয়েছে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ভোর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মাবলীরা ব্রহ্মপুত্রে পাড়ে সমাবিত হয় এবং স্নান উৎসবে যোগ দেন। তারা আরো জানান, তবে প্রশাসন জানা মাত্রই সেখানে যাচ্ছেন এবং সমাবিত মানুষকে বাড়িতে যাওয়ার আহব্বান যাচ্ছেন। স্নান উৎসবে যোগদেয়া অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান বছরের একটি দিন আর এই দিনটি আমাদের জন্য বড় একটি দিন পাপ মোচনের দিন, না আসলে কি চলে। তবে আয়োজক কারীরা বলেন করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এবারে প্রায় ৫লাখেরও বেশি হিন্দু ধর্মাবলীর পূণ্যার্থীরা যোগ দিত স্নান উৎসবে। বিছিন্ন ভাবে স্নান উৎসবে যোগ দিয়েছেন হিন্দুধর্মাবলীরা তা স্বীকার করে চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন আমাদের টহল সব স্থানে আছে এর মধ্যে যারা এসেছিল তাদের ঘুরে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা খবর পাওয়া মাত্রই যেখানে সমাবিত হচ্ছে মানুষজন সেখানেই যাচ্ছি এবং সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন এ বিষয়ে নজরদারী বাড়াতে অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে এছাড়াও স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচারও করা হয়েছিল।