ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির ও চরমোনাই পরী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দরিদ্র অসহায় মানুষের সহায়তায় তাদের পাশে দাঁড়াতে সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বানের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনাও করেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন করোনা চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করছেন। প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট না থাকায় ইতিমধ্যে তিনজন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়লে ডাক্তারদের নিরাপত্তা কী হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা তাদের আশংকা প্রকাশ করেছেন।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘আমি আশা করি, সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি বা দুর্বলতা থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করবেন।’
কোনো প্রকার পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের প্রভাব কমাতে সরকার কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই সকল মানুষকে বাড়িতে থাকতে বলেছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের ১০ দিন তো দূরের কথা এক দিনের অতিরিক্ত খাবারের সংস্থানও ছিল না। এ অবস্থায় অনেক নিঃস্ব মানুষ না খেয়ে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে।’
‘অবশ্য দেরিতে হলেও ইতিমধ্যে সরকার ও বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। তবে এসব সহায়তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিত্তশালীরা অধিক হারে এগিয়ে আসলে সকল দরিদ্র পরিবারের কাছে খাবার সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে যে গজব বিশ্বজুড়ে নেমে এসেছে তা মোকাবেলা করার সাধ্য কারও নেই। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার করে আমাদের গোনাহ মাফ করানোর মাধ্যমে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। এছাড়া যেকোনো বালা মুসিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর রাসুল সা. বেশি বেশি দান সদকাহ করতে বলেছেন। এজন্য মহামারি থেকে মুক্তি পেতে সামর্থ্যবান মানুষের উচিত দরিদ্র মানুষের মধ্যে দান সদকাহ বেশি পরিমাণে করা।’
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যসামগ্রী, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে জানিয়েছে এ কার্যক্রম আরও বেগবান করতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন চরমোনাই পীর।