এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গ্রাহকদের পকেট কেটেই যাচ্ছে করােনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত তখনও । এ কারণেই বিক্রয় মূল্যে কারসাজি, পণ্যের ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা ও নির্ধারিতের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৭ প্রতিষ্ঠানকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শনিবার রাজধানী ও সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা করে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক( উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের তিনটি টিম ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রলায়ের তিনটি মনিটরিং টিম ঢাকা মহানগরীর ২০ বাজারসহ শিশুখাদ্য, সার্জিকেল মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারের খুচরা প্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ২৭ প্রতিষ্ঠানকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজারগুলো হচ্ছে হাজারীবাগ বাজার, ঝিগাতলা বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, হাতিরপুল বাজার, কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার, খিলগাঁ তালতলা বাজার, রামপুরা বাজার, মধ্য বাড্ডা বাজার, উত্তর বাড্ডা বাজার, গোদারাঘাট বাজার, গুলশান-২ কাঁচাবাজার, বনানী কাঁচাবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, কল্যাণপুর কাঁচাবাজার, আশুলিয়া বাজার, বাইপাইল বাজার ও সাভার বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার।
এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় রাজধানীর কারাওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার, খিলগাঁও তালতলা বাজার, রামপুরা বাজারে মাংসের দোকানে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমে তদারকি করেন সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল, মাগফুর রাহমান ও প্রণব কুমার প্রামাণিক।
ভোক্তারা যাতে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে মজুদ না করেন সে বিষয়ে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। কোনো একক ব্যক্তির নিকট অতিরিক্ত পরিমাণে পণ্য বিক্রয়ের জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানকালে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি নিজস্ব উদ্যোগে দেয়া ১৫ হাজার মাস্কের মধ্যে শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত, বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুই হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয় বলে জানান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।।