নিউইয়র্ক শহরে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭,০০০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকায় এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।সারা আমেরিকায় মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলস কাজ করে চলেছেন আক্রান্ত রোগীদের সেবা ও শনাক্তকরণে।
করোনায় আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ফ্লাশিং হসপিটালের ল্যাবে কর্মরত আছেন মেরী হালদার। তিনি এই হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। তিনি জানিয়েছেন- এ মূহুর্তে নিউইয়র্ক কোভিড-১৯ এর এপিসেন্টার, জানেন আপনারা। আজ একটু আগে আক্রান্ত সংখ্যা ৩৭,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এই আতঙ্কের ভরকেন্দ্রে থেকেও নিজেকে ঘরবন্দী রাখতে পারছি না। ল্যাবে রক্তের নমুনা পরীক্ষার কাজ করে চলছি নিরলস। করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই রক্ত দেওয়া হবে। প্রতি মূহুর্তে আতঙ্ক ও ভয়কে তুচ্ছ করে হাজার হাজার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে চলেছি আমি ও আমার সহকর্মীরা।
আমাদের প্রিয় শহরটিকে আবার সপ্রাণ সারিয়ে তুলব এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে চলেছি। ভয়ে সরে আসিনি। বসে থাকতে পারছি না ঘরে।
তিনি আরোও জানান, ভুলে যাবেন না- যথেষ্ঠ পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টস) কিন্তু নেই আমাদের কাছে। আমেরিকার মত বিত্তশালী দেশেও সম্ভব হচ্ছে না প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পিপিই বরাদ্দ করা।
মেরী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্বভাব মতো অভিযোগহীন হাসি নিয়েই। নিউইয়র্ক আবার সুস্থ হয়ে উঠবে। আবার হৈরৈ করে তার রাস্তা ভরে উঠবে লক্ষ মানুষের পদচারণায়। মেরীদের জন্যই সেটা হতে পারবে।
এই বাঙালিনী’র জন্য আমরা গর্বিত । মেরী হালদারকে আমরা টুপি খোলা সম্মান জানাচ্ছি। মেরী ও তার সহকর্মীদের জন্য আমাদের শুভকামনা। পৃথিবীর সব প্রান্তের ফ্রন্ট লাইন কর্তব্যকারীদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা।
জীবাণুমুক্ত হোক প্রিয় শহর। জীবাণুমুক্ত হোক পৃথিবী।