সিএসই কর্তৃপক্ষ আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এছাড়া ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাবসহ পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে মোট ১৭ দফা প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জমা দিয়েছে।

পাশাপাশি সরকারের পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পুঁজিবাজার থেকে সংস্থান করার প্রস্তাব করেছে সিএসই।

এনবিআর থেকে প্রস্তাবনাগুলো যাচাইবাছাই করে যৌক্তিক হলে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ২০ শতাংশ হারে করপোরেট কর নির্ধারণ করা।

অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করলে হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট বছরে প্রযোজ্য আয়করের উপর ১০ শতাংশ হারে রেয়াত পায়। এই সুবিধা ৩ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এসএমই কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে প্রথম ৩ বছর করমুক্ত রাখা ও পরের বছরগুলোতে ১৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া।

যেসব কোম্পানি ২০ শতাংশের বেশি কিন্তু ৩৫ শতাংশের কম হারে লভ্যাংশ দেয় বা কোম্পানির জন্য ৫ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি হারে লভ্যাংশ দেয়, সেসব কোম্পানিগুলোকে ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

একটি শক্তিশালী ও আলাদা বন্ড মার্কেট গঠনের লক্ষ্যে বন্ড লেনদেনকে উৎসে আয়করের বিধান অব্যাহতি প্রদান এবং রফতানি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উৎসে কর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে সিএসই।

এক্সচেঞ্জটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মূলধনী মুনাফার উপর প্রদেয় করহার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা।

ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষেত্রে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড ও ইউনিট ফান্ড থেকে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা তাদের মোট করযোগ্য আয়ের ২৫ শতাংশ, যা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়। সিএসই এ সীমা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

ব্যক্তি করদাতাদের অর্জিত বাড়িভাড়া ভাতার করমুক্ত সীমা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ বা মাসিক ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করে সিএসই।

ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানি যে ১০ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কেটে রাখে, তা বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে এক তালিকাভুক্ত কোম্পানির মাধ্যমে অন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে অর্জিত লভ্যাংশের উপর করহার ২০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা। আর বিদেশি বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের থেকে অর্জিত লভ্যাংশের উপর কর কর্তনের হার কমিয়ে কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করে সিএসই।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031