চট্টগ্রাম : আজ পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমআ আদায়ের মাধ্যমে আমরা রমজান মাসকে বিদায় জানানো দ্বার প্রান্তে। এ রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাত তথা সিয়াম, কিয়াম ও তাকওয়ার উপহার নিয়ে এসেছিল। এখন ভেবে দেখার বিষয় যে, রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি।
এ মাসে আমরা তিনটি জুমআ অতিবাহিত করে আজ রমজানের সর্বশেষ জুমআকে বিদায় জানানোর দ্বার প্রান্তে। জুমআতুল বিদার শিক্ষা হোক কুরআন নাজিলে মাসে কুরআনকে হৃদয়ে ধারণ করে আমলি জিন্দেগি গঠনের। যেহেতু রমজান এবং জুমআ উভয়টিই গুরুত্বপূর্ণ, তাই যথাযথ মর্যাদায় তা পালন করা জরুরি।
জামআতুল বিদা
জুমাআতুল বিদা বলা হয় পবত্রি রমজান মাসের শেষ জুমআ`কে। এমনিতেই জুমআ`র দিনটি সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে অধিক ফজিলতের দিন। তারপর আবার রমজানের শেষ দশকের মর্যাদা ও গুরুত্ব অত্যাধিক। তাই রমজানের শেষ জুমআর ফজিলত বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
তাছাড়া জুমআ`র নামাজ সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমরা জুমআর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে। (মুসনাদে আহমদ)
জুমার দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনের ফযিলত ও মর্তবা অনেক বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআ`র দিন। এই জুমআ`র দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমার দিনেই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমার দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কিয়ামতও এই জুমার দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)।
মূল কথা হচ্ছে, জুমার নামাজ মুসলিম উম্মার জন্য এক অতিশয় মর্যাদা ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বহু মুসলমান একত্রিত হয়ে আল্লাহর সম্মুখে বিনীতভাবে সিজদায় অবনত হওয়ার এবং নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য অধিকতর মজবুত করার জন্য এটি একটি সামষ্টিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান। তাই রমজানের শেষ দশকে অনুষ্ঠিত শেষ জুমআ’য় কল্যাণ লাভে ব্রতী হই।
পরিশেষে…
রমজানের শেষ দশকের শেষ জুমআ বা জুমআতুল বিদার নামাজ আদায় করে অফুরন্ত ছাওয়াব, রহমত, বরকত মাগফিরাত এবং জাহান্নামের আগুণ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য সর্বাগ্রে মসজিদে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান ও জুমআতুল বিদার ফজিলত ও মর্যাদা লাভে যথা সময়ে মসজিদে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।