বৃটেনের স্বেচ্ছাসেবীর জন্য আবেদন জানালে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ সাড়া দিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ (এনএইচএস) । যেসব ঝুঁকিপূর্ন ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে বের না হতে বলা হয়েছে, তাদের সাহায্য করবেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এনএইচএস-এর জন্য শুধু ইংল্যান্ডে আড়াই লাখ স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন বলে জানান। এরপর প্রতি সেকেন্ডে ৫ জন করে মানুষ অনলাইনে স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ওই দিন রাতেই ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ সাড়া দেয়। পরেরদিনই চাহিদারও বেশি মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হতে আবেদন করে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, একদিনেই কভেন্ট্রির পুরো জনসংখ্যার সমান মানুষ সাড়া দিয়েছেন। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৩০৩ জনে।
মানুষের বিপুল সাড়া দেখে এনএইচএস কর্তৃপক্ষ মোট সাড়ে ৭ লাখ স্বেচ্ছাসেবীর নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। যারা ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছেন, তারা আগামী সপ্তাহ থেকেই কাজে লেগে যাবেন। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান পত্রিকা।
বুধবার যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমন থেকে মৃতের সংখ্যা ৪২২ জনে দাঁড়িয়েছে। সরকার এরপর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী প্রয়োজন বলে জানায়। তাদের কাজ হবে যেই ১৫ লাখ মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বাড়িতে খাবার ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দেওয়া। তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাদেরকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি, যারা নিজ বাড়িতে সেলফ-আইসোলেশনে আছেন, তাদেরকে নিয়মিত ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেওয়া।
এর বাইরে, এনএইচএস থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ১২ হাজার কর্মীও নতুন করে কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা এখন অন্য সব কর্মীর মতোই কাজ করবেন। অপরদিকে সরকার লন্ডনের পূর্বে অবস্থিত এক্সেল সেন্টারে ৪ হাজার শয্যার মেকশিফট হাসপাতাল বানানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার সকালে এনএইচএস ইংল্যান্ডের জাতীয় মেডিকেল পরিচালক স্টিফেন পোয়িস জানান, স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহবানের মাত্র ১৫ ঘণ্টায় চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ পূরণ হয়ে যায়। তিনি বলেন, এই অত্যাশ্চর্য সাড়া দেখে তারা আভিভূত হয়ে গেছেন।