কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যফেরত এক দম্পতিকে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন-ঢাকা হয়ে তারা সিলেটে এসে পৌঁছান।
বিমানের এ ফ্লাইটে মোট ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ৬০ এর উপরে এই দম্পতির শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাদের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
অন্য যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওসমানী বিমানবন্দর ইমিগ্রশেন পুলিশ।
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ১৩৭ জন। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২০০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয় ১০ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনের হিসাব রাখা শুরু করে। সিলেট বিভাগে এখন ১৫৯৭ জন হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
তাদের মধ্যে সিলেটে ৭৩১ জন, সুনামগঞ্জে ২২৯ জন, হবিগঞ্জে ৪৭৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ১৬৪ জন রয়েছেন।
নতুনভাবে কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে সিলেটের ১০ জন, সুনামগঞ্জের ৫৬ জন, হবিগঞ্জের ৫০ জন এবং মৌলভীবাজারের ২১ জন।
ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ২০০ জন মুক্ত হয়েছেন। তাদের নির্দিষ্ট ১৪ দিন কোয়ারেন্টানে থাকার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়েনি।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই প্রবাসফেরত। বাকিরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন।