চট্টগ্রাম : মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী ঘোষণা করেন। নগরীর বাকলিয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
একই রায়ে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদ- দেন আদালত। এসময় সঠিক তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় কালু নামের এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।অভিযুক্ত অন্য আসামি ইশান ওরফে মিশানের(১২) মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে ইলিয়াস(২০) ও আব্দুল হান্নান। ইলিয়াস নোয়াখালীর চড় জব্বার উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের মো আনামুল হক’র ছেলে।তবে আসামিরা বর্তমানে পলাতক আছেন।
এ বিষয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান সিটিজি নিউজকে জানান, নগরীর বাকলিয়া থানার রসুলবাগ আবাসিক এলাকার ১নং ব্লক এর ১৮৫ নং ভবনের ২য় তলার বাসিন্দা নিহত খতিজা বেগম বেবী(৪৫)। তার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যে থাকতেন ।তাদের কোন সন্তান ছিল না তাই ইয়ামি নামের এক পালক পুত্রকে নিয়ে নিজ বাসায় একা থাকতেন খতিজা।স্বামীর অনুপস্থিতে সেই ভবনের নির্মাণাধীন ৩,৪,৫ তলার কাজ পরিচালনা করতেন তিনি।
২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার কোন এক সময়ে অজ্ঞাতদের হাতে খুন হন খতিজা বেগম। খতিজাকে জবাই করে মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায় ঘাতকরা।পরে খতিজার ভাই মো. ইউনুস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সহায়তায় লাশ মর্গে পাঠায় এবং রাত ১১টার দিকে ইউনুস বাদী হয় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো জানান,পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর চড় জব্বার উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রাম থেকে ইলিয়াস এবং তার তথ্য মতে হান্নানকে আটক করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং কালু ও ইশান ওরফে নাম মিশান(১২)নামের দুই জনের নাম প্রকাশ করেন।
একই বছরের ২৩ নভেস্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ শীট দাখিল করা হয়।এবং ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যেমে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
২১ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইলিয়াস ও আব্দুল হান্নানকে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।