প্রথম মৃত ব্যক্তির স্বজনরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকার মিরপুরের উত্তর টোলারবাগ এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত ব্যক্তির স্বজনরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বজনদের মধ্যে মৃত ব্যক্তির মেয়ে, জামাতা ও বাসার গৃহপরিচারিকা রয়েছেন। পুলিশের মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ মানবজমিনকে জানান, উত্তর টোলারবাগে প্রথম নিহত ব্যক্তির পরিবারের তিন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন ওই ব্যক্তির মেয়ে ও জামাতা। তারা দুজনেই দাঁতের চিকিৎসক। তৃতীয়জন তাদের বাসার কাজের মেয়ে।
শনিবার মিরপুর-১ নম্বরের উত্তর টোলারবাগের ১৯/সি ২/১ নয়তলা ভবনের সপ্তম
তলার বাসিন্দা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা
যান। ৭৩ বছর বয়সী এই অধ্যক্ষের মৃত্যুর পর তার পরিবার কোয়ারেন্টিনে চলে
যান। তবে তিনি কিভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেটি এখনও নিশ্চিত করতে পারে
নাই আইইডিসিআর। সরকারের এই সংস্থাটি এ নিয়ে অনুসন্ধান করছে। বিভিন্ন তথ্য
উপাত্ত সংগ্রহ করছে।
এর আগে মৃত ব্যক্তির অসুস্থতার খবর পেয়ে
চট্টগ্রাম থেকে দেখতে আসেন মেয়ে ও জামাতা। প্রথমদিকে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে
ধোঁয়াশা থাকলেও পরবর্তীতে পরিবারের তরফে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়। বিদেশ
ফেরত জামাতার সংস্পর্শে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন জনশ্রুতি থাকলেও
বৃদ্ধের ছেলে জানান, জাপানে অবস্থানরত জামাতা দীর্ঘদিন ধরে দেশে আসে নাই।
তবে চট্টগ্রামে থাকা তার আরেক মেয়ে ও জামাতা তাকে দেখতে ঢাকায় আসেন।
উত্তর টোলারবাগে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজন ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করেছেন। আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ছাড়া তার প্রতিবেশী সায়েন্স ল্যাবরেটরির সাবেক এক কর্মকর্তা মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মৃত দুজনই একই মসজিদে নামাজ পড়তেন এবং একে ওপরের ঘনিষ্ট ছিলেন। পরপর একই এলাকায় দুজনের মৃত্যুতে টোলারবাগ এলাকায় এখন রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। সতর্কতার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এলাকার প্রতিটি বাড়ির সামনে এখন জীবাণুনাশক পানি রাখা হয়েছে। বাসায় প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক পানি দিয়ে হাত পা ধোঁয়ার বাসায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া উত্তর টোলারবাগের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।