এক ব্যবসায়ী ধামরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ।
মঙ্গলবার দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন ডিএইচ শামীম নামের ওই ব্যবসায়ী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হকের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন তিনি। সোমবার সচিবালয় যখন করোনা প্রতিরোধে সরকারি সিদ্ধান্ত জানাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেও স্বাধীনতা দিবসের নামে ধামরাইয়ের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোক পাঠিয়ে টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি ধামরাইয়ের সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই আবেদন করেন বলে জানান।
এর আগে ধামরাইয়ের এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি খাসজমি ইজারা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ডি এইচ শামীম। তিনি ধামরাই উপজেলার দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
ডি এইচ শামীম বলেন, উপজেলার দক্ষিণপাড়া এলাকার (ভিপি কেইস নম্বর ২৯/৬৯) দক্ষিণপাড়া মৌজার ১২৭ নম্বর খতিয়ানের ২৫০ নম্বর (এসএ) দাগের ৫৬ শতাংশ খাসজমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ইজারা নিয়ে ভোগদখল করে আসছি আমরা। দীর্ঘদিন ধরে আমরা জমিটি ইজারা নিয়ে সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছি, এমনকি ইজারার কোনো চুক্তিও ভঙ্গ করিনি। এখন কোনো নোটিশ ছাড়াই জমিটি বাইরের ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়ায় আমরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। কোনো মহলকে খুশি করতে ইউএনও জমিটি ওই ব্যক্তিকে ইজারা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শামীম।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি পাঁচ মাস ধরে। আমি কাউকেই অনুমিত দিইনি। আমি যতগুলো ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত করেছি, ইতিপূর্বে অন্য কেউ তা করেননি।’ তার বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।