বাংলাদেশে দিন দিন মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ। এই সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক ক্রেতাও আতঙ্কে খাদ্যপণ্য কিনে মজুত করছেন।
এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে।
রাজধানীতে গত কয়েক বছর ধরে নানা সময়ে অভিযান চালিয়ে প্রশংসা কুড়ানো র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম রবিবার রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজের বাজারে অভিযান চালায়। অভিযানে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয়জনকে কারাদণ্ড দেন তিনি। অভিযান শেষে সে অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টে সারওয়ার আলম লিখেছেন- পেয়াঁজের ঝাঁঝ মনে হয় কমতির দিকে। অভিযানের অভিজ্ঞতায় মনে হলো এ এক মগের মুল্লুক। মন চাইল আর দ্বিগুণের চেয়ে দাম বাড়িয়ে দিল। ১৯ মার্চ রাত পর্যন্ত পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ছিল ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, পরদিন সকালে কোন কারণ ছাড়াই সবাই মিলে দাম বাড়িয়ে করে ফেলল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কি বিচিত্র আমাদের কর্মকাণ্ড। আর খুচরা বাজারে হয়ে গেল প্রতি কেজি ৮০ টাকার উপরে।
এ বাড়তি মূল্যের শতকরা ২৫ ভাগও যদি কৃষক পেত তাও সান্ত্বনা পাওয়া যেত। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্রান্তিকালেও এরা সাধারণের কথা ভাবেনি।
অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও আলু বিক্রি করায় আজ রাজধানীর শ্যামবাজারে বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালিয়ে ৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলে রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৯-৩০ ঘটিকা পর্যন্ত।
লেখক: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব।