সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগর বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই জনগণের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। বুধবার মোহরা এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বিপুল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে হামিদচর শাহজীর মাজার জেয়ারত করে গণসংযোগ শুরু করেন। গণসংযোগটি এফআইডিসি রোড, চর রাঙামাটিয়া, কামাল বাজার, কাজির হাট, মৌলভীবাজার হয়ে কবির টাওয়ারে এসে শেষ হয়। পরে কামাল বাজারের কর্ণফুলী টাওয়ারের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন শাহাদাত হোসেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সরকারি ছুটি। পরের দিন ২৯ মার্চ নির্বাচন। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে ভোটার আনা খুব কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের যে প্রস্তাবনাগুলো নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি এবং নির্বাচনমুখী যে কাজগুলো আমরা করছি, সেগুলো যদি নির্বাচন কমিশন মেনে নেয় এবং বিজ্ঞাপন আকারে বিভিন্ন মিডিয়ায় দেয়- তাহলে জনগণ কিছুটা হলেও কেন্দ্রমুখী হবে। অন্যথায় ঢাকা সিটি করপোরেশনে ২০ ভাগ লোকের যে মেয়র হয়েছেন, সেই ২০ ভাগ লোকের মেয়র আমরা হতে চাই না। আমরা ৮০ ভাগ লোকের মেয়র হতে চাই।
শাহাদাত হোসেন বলেন, যদি ভোটার না আসে তাহলে সেই নির্বাচনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আশা করছি, আমরা নির্বাচন কমিশনকে যে দাবি দিয়েছি, প্রস্তাবনা দিয়েছি তা মেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেবে। জনগণকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি। জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে আসতে না পারে তাহলে সেই বিষয়টি কমিশনকে ভেবে দেখতে হবে।
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, যেখানে যাচ্ছি সেখানে বিএনপির প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখছি। ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার বইছে। মোহরার গণসংযোগ গণজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আমরা জনগণ নিয়ে রাজনীতি করি। দেশের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। আমরা এ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র মুক্ত করব।
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ বলেন, দেশের সব আন্দোলনের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। এই চট্টগ্রাম থেকে বিট্রিশবিরোধী আন্দোলন, দেশভাগ আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের জনগণ সবসময় যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে। আমার আশা করি, জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে ডা. শাহাদাতকে জয়যুক্ত করবেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে তরান্বিত করবেন।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন রশিদ ভিপি, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, চান্দগাঁও থানার বিএনপির সভাপতি ও মোহরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজম, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দীন খান, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মিয়া, মো. ইয়াছিন, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল কবির রানা, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ খান, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির নেতা জাফর আহমেদ, ইকবাল চৌধুরী, দিদারুল আলম হিরামন, গোলজার হোসেন, মানিক চৌধুরী, জমির উদ্দিন মানিক, মনুসর আলম প্রমুখ।