ঢাকা : সোমবার পৃথকভাবে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে চেক প্রজাতন্ত্র, মালি, মোঙ্গলিয়া ও পর্তুগালের রাষ্ট্রদূতরা তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
তারা হলেন চেক প্রজাতন্ত্রের মিলান হোভোর্ক, মালির নিয়ানকোরো জিয়াহ্ সামাকে, মোঙ্গলিয়ার গনচিং গানবোল্ড ও পর্তুগালের জেয়াও দা কামারা। এই চার দেশের চারজনই অনাবাসিক দূত।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন জানান, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে তাদের দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তারা বাংলাদেশ ও ওইসব দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তিনি দূতদের অবাধে বাংলাদেশ সফরের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ক্রম উন্নতির প্রেক্ষাপটে তাদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোরও পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং এটি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক অব্যবহৃত ক্ষেত্র রয়েছে। ওইসব ক্ষেত্রে যথাযথ অনুসন্ধান চালালে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।’
তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও ওইসব দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পর্যায়ে সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠককালে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন এবং তাদের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারা বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি কন্টিনজেন্ট তাদের পৃথকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে।