চট্টগ্রাম: দুইজনকে ধরেছি তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যাকারীরা পেশাদার অপরাধী বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, এই হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি, বাকী কারা জড়িত সেই ব্যাপারে আমরা অবহিত হযেছি,
“এরা পেশাদার অপরাধী, এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরছি হত্যাকান্ডের মিশনে ৭/৮জন অংশ নিয়েছে, বাকী যারা জড়িত তাদের নাম ঠিকানা আমরা পাবো, কেবল পেয়েছি, বাকী যারা পেলে, তদন্ত শেষ হলে বলতে পারবো কেন তারা এই হত্যাকান্ডে অংশ নিযেছে, উল্লেখ করেন তিনি।
সিএমপি সূত্রে জানাগেছে, আসামীরা হচ্ছে মোহাম্মদ মোতালেব ওরফে ওয়াসিম(২৭) ও আনোয়ার হোসেন(২৮)। ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গলাছিপা গ্রামের আবদুল নবী’র ছেলে। আনোয়ার হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের শামসুল আলমের পুত্র। তাদেরকে রবিবার বরোটার দিকে আদােলতে পাঠানো হয়।
ইকবাল বাহার জানান, “ওয়াসিম কিলিং স্কোয়াডের তিনজনের একজন সে মিতুকে গুলি করেছে, আনোয়ারা হোসেন এই হত্যাকান্ডের ব্যাকআপ টিম হিসেবে ঘটনাস্থলে ছিলো, হত্যাকান্ডে ৭/৮জন জড়িত ছিলো বলে জানা গেছে, সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, “তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র, অতীতে এরা হয়তো এই ধরনের কাজ করেছে, সন্ত্রাসী গ্রুপ হতে পারে, কিলার গ্রুপ হতে পারে, কার নির্দেশে অথবা কিভাবে তদন্তের স্বার্থে এখন সব বলবোনা, সকল অপশন এক্সেসাইজ করে আমরা যে জায়গায় নিশ্চিত হবো সেই জায়গায় স্থির হবো।”
“প্রথমে বলেছিলাম এটি জঙ্গি তৎপরতা হতে পারে, এখনো বলছি এটা জঙ্গি তৎপরতা না, আগে কোন জায়গায় ছিলাম এখন সেখান থেকে সরে এসেছি বিষয়টা তেমন নয়, উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা যা হোক এটা কিন্তু টার্গেট কিলিং, তকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে, কারা কিভাবে করিয়েছে সেটা, মূল বিষয়টি তখনই হবে যখন আমরা জানতে পারবো তদন্ত সম্পূর্ন হযেছে।”
“আমি নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারবোনা এটা জঙ্গি সম্পৃক্ততার কারনে, না চোরাচালান, না ব্যক্তিগত আক্রোশ হয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৫জুন নগরীর জিইসি মোড় সংলগ্ন বাসার কাছে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন পাচলাইশ থানায়।
আর শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মোরাদিযার বাসা থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাবুল আক্তারকে।