১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠেয় মূল অনুষ্ঠানটি ওই দিন হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। কিন্তু এ পরিস্থিতিতেও খুলনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হলো।
এই মেলায় প্রতিদিন খুলনার হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। তাই এবারের বাণিজ্যমেলায় শঙ্কা রয়েই গেলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে জনসমাগম হয় এমন আয়োজন করা থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই কারণে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানও সীমিত করা হয়েছে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সে আহ্বান উপেক্ষা করে বুধবার খুলনায় উদ্বোধন করা হয়েছে বাণিজ্যমেলার। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর গত মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সেই সভায় ওয়াজ মাহফিল বা নামযজ্ঞের মতো ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দূর হওয়ার পর আয়োজনের জন্য সর্বসাধারণকে পরামর্শ দিতে উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সভাপতি। কিন্তু এ নির্দেশ উপেক্ষা করে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজনে ১৯তম খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খোদা বলেন, সরকার যেখানে দেশের বর্তমানে সর্বোচ্চ অনুষ্ঠান জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত করেছে। সেখানে খুলনায় বাণিজ্যমেলা শুরু হওয়াটা আশঙ্কার। বাণিজ্যমেলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। করোনা আতঙ্কের মধ্যে এ জনসমাগম সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
বাণিজ্যমেলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মেসার্স চামেলী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাসেল মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, মেলায় প্রবেশের পথে দর্শনার্থীদের (হ্যান্ডওয়াস) হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। তাছাড়া মাইকিং করেও সকলকে সতর্ক করা হবে।