চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দলের নেতাকর্মীদের ‘হয়রানি’ না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন । এসময় তিনি সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতেরও আহবান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতি। সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
ডা. শাহাদাত বলেন, নগরীর বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বিমাতাসুলভ আচরণ করছে বলে খবর পাচ্ছি। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। ভোটের মাঠে সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এরপরও আমাদের নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠে হয়রানি করলে আমরা বসে থাকবো না, কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
তিনি গতকাল ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে খাজা রোড, চৌধুরী স্কুল, ইলিয়াছ মেম্বাারের বাড়ি, গোলাম আলী নাজির বাড়ি, সানোয়ারা আবাসিক, বরিশাল বাজার, সিএনবি মোড়, মৌলভী পুকুর পাড়, শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্প ও পশ্চিম ষোলশহর ৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর মোড়, মির্জারপুল, মোহম্মদপুর, খতিবের হাট, নাজিরপাড়া, হামজারবাগ, আতুরার ডিপু, আমিন কলোনি, মোহাম্মদ নগর, আনন্দবাজার, বার্মা কলোনি, আলি নগর ও হিল ভিউ এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, আওয়ামী লীগ, রাষ্ট্রযন্ত্র ও ইসি মিলেমিশে এখন একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী সমুচিত জবাব দেবে। ভোটের দিন পাঁচটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ শান্তিপ্রিয় কিন্তু প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে অনিয়ম হলেও আন্দোলনের সূচনা হবে চট্টগ্রাম থেকে। ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীর অফিসার ত্রুটি দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে যেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশমাতার মুক্তির বার্তা নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের দুয়ারে, ধানের শীষের ভোট চাইতে। আমি চট্টগ্রামরক সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোটযুদ্ধে নেমেছি। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছি। ভোট যুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, ভোট ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকার দিনের ভোট রাতে নেওয়ার কারণে মানুষ কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না। আসুন চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে মুক্তির জন্য পথে নেমেছি। ২৯ মার্চ বিজয়ী হয়ে এই আন্দোলনে সফল হয়ে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। সন্ত্রাসী, মাস্তান নিয়ে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা হলে দাতা ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আমাকে যেভাবে হারানো হয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ সিটি নির্বাচনে আমরা তা আর হতে দেবো না। যারা ভোট চুরি করতে আসবে তাদের আমরা সাধারণ ভোটারদের সাথে নিয়ে প্রতিহত করবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এম এ হালিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি হাজী মো: আলী, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী মাহাবুবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রার্থী ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলি, খোরশেদ আলম কুতুবী, আবু মুছা, আবদুল হাই, মনির আহম্মদ চৌধুরী, শরিফ উদ্দীন খান, মহিলা কাউন্সিলার প্রার্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, জিন্নাতুন নেছা জিনিয়া, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন, আবুল মনছুর রোমেল, ইলিয়াছ চৌধুরী, মো:আসলাম, এড. এফ এ সেলিম, মাসুদুল কবির রানা, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, কায়সরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, মোহাম্মদ আলী সাকি, জিয়াউর রহমান জিয়া, গুলজার হোসেন, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দীন রাসেল, শহিদুল ইসলাম শহিদ, আসাদুজ্জাম রুবেল, মাহাবুবুর রহমান, ফখরুল ইসলাম শাহিন, মোহাম্মদ হাসান।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |