দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ দিয়েছে । বৃহস্পতিবার তাদের সংস্থাটির চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন বর্তমানে শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত আছেন। বাকি দুজন বদলি হয়েছেন।
যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম, সাবেক উপবিদ্যালয় পরিদর্শক (বর্তমানে বিদ্যালয় পরিদর্শক, ঢাকা শিক্ষাবোর্ড) মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞা, সাবেক উপসচিব (বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ) মো. ফখরুল মাওলা, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কাশেম মো. ফজলুল হক, স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিন এবং সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন।
নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। কারো অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এই নোটিশ জারি করে থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
নোটিশে ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিজের ও স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, পাসপোর্টের কপি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব, ট্যাক্স ফাইলের বিবরণ, বেতন ও অন্যান্য খাত থেকে আয়ের উৎস ও বিবরণ সহকারে বৃহস্পতিবার (আজ) দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তারের স্বাক্ষরে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে। কেউ দুদকে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে দাবি করে নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তা মো. হালিম ও মো. সাইফুদ্দিন বলেন, হয়রানি ও সম্মানহানির উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান অবশ্য এটি প্রথমবারের মতো নয়। এর আগেও অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বেশ কয়েকবার দুদকের তদন্তের মুখে পড়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত জানুয়ারিতেও স্টেনোগ্রাফার মো. নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান করে দুদক।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |