বিরামপুর পৌরসভার বিভিন্ন কাজে মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের । এ ব্যাপারে তদন্ত করতে বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক এহসানুল হক পলাশের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ ও ইউনিয়ন পরিষদের বিল্ডিং, বিভিন্ন ড্রেনের ইট আত্মসাৎ ছাড়াও পৌরসভার রাস্তাঘাট নির্মাণে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়াও বিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী হাট খাস কালেকশনের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। যার প্রতি বছর ইজারা (ডাক) হয় প্রায় দুই কোটি টাকা।
সম্প্রতি বিরামপুর পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের বিষয়ে সুশীল সমাজের পক্ষে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ আছে, ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দরপত্রটি বাতিল হলে মেয়র লিয়াকত হোসেন টুটুল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজেই বাতিল দরপত্রটির কাজ নিজস্ব ঠিকাদারকে দিয়ে করায়।
তিনি গত চার বছর এসব দুর্নীতি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল ছুটিতে বাইরে থাকায় প্যানেল মেয়র মাহাবুবুর রহমান হান্না, অ্যাকাউডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী সেলিম উদ্দিনকে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেজিস্ট্রার খাতা-পত্রের ফটোকপি ও ফাইল-পত্রের ফটোকপি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ব্যবস্থা নেয়া হবে।