ঢাকা : জঙ্গিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল।এদের কাছে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। কিন্তু জঙ্গির নাম করে ধরেন সাধারণ মানুষ। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে। রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন যৌথভাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সারা দেশ কি চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেস ক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গারে জোরে সব দখল করছে। তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এব একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো। সেই নির্বাচনের আসলে তারা যে কাজ করতো তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের এক কাজ করছে তা বৈধ নয়। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাইকো মামলা একসঙ্গে হয়েছে। ফখরুদ্দীন- মইনউদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিলো ১৫টি মামলা। আমার ছিলো ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কিভাবে চলে। হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিলো সেই মামলা প্রত্যেক নেতাকর্মীর হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের কোনো এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবে না। কিন্তু এখন তা প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে কথা বলতে দেয়া হয় না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খেটেছেন। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছে, গণগ্রেপ্তার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |