শেষ হয়ে গেছে ভ্রমণকর রশিদ বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের শাখায় । বিকল্প হিসেবে টিআর চালানের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে ভ্রমণকর। এতে যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন সাত হাজার থেকে আট হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এর মধ্যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় চার হাজার যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংক থেকে ভ্রমণকর সংগ্রহ করে ভারতে গমন করেন। অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধের সিস্টেম থাকলেও অধিকাংশ যাত্রী বেনাপোল সোনালী ব্যাংক থেকে ভ্রমণকর সংগ্রহ করে থাকেন।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংক থেকে অন্য সময়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্রমণকর সংগ্রহে সমস্যা না হলেও বর্তমানে ব্যাংকে ভ্রমণকর পেপার না থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
সারারাত বাস বা ট্রেনে আসার পর ক্লান্ত শরীরে বেনাপোল চেকপোস্টে ভ্রমণকর সংগ্রহের জন্য তাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও শিশু যাত্রীরা। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
ভারত ভ্রমণে যাওয়া প্রভাষ দলপতি নামে এক পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকা টাইমসকে বলেন, তিনি সকাল আটটার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছেছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্রমণকর সংগ্রহ করতে তার দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। ব্যাংকের বুথে ভ্রমণকর পেপার না থাকায় তিনি টিআর চালানের মাধ্যমে ভ্রমণকর পরিশোধ করেছেন। এভাবে শ শ যাত্রীকে প্রতিদিন ভ্রমণকর সংগ্রহ করতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, অনলাইনে ভ্রমণকর সংগ্রহের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে আমাদের এখানে প্রিন্টার না থাকা ও অনলাইনে ম্যাসেজ দেখার কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে যাত্রীরা অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধ করার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন না। তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরে বেনাপোল ব্যাংকে ভ্রমণকর পেপার না থাকায় টিআর চালানের মাধ্যমে ভ্রমণকর নিতে হচ্ছে। এতে সময় লাগছে অনেক। যে কারণে যাত্রীরা একটু হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ভ্রমণকর পেপার এলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।