ঢাকা :ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এতো বছরের সম্পর্কের মাঝেও যেন শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। ইইউ ছাড়ার পক্ষে জনগণ মত দিলেও, এখন ব্রিটেন বলছে, কোনো তাড়াহুড়ো নয় বরং ধীরে-সুস্থে, সময় নিয়ে নিজেদের বিদায় প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ব্রিটেনের গণভোট রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে অনেক হিসাব।
যদিও ইইউ বলছে, প্রক্রিয়া শুরু হতে দীর্ঘসূত্রতা হলে এটি অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। ইউরোপের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী নেতা জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেন, ব্রিটেনকে অহেতুক দ্রুতগতির সঙ্গে কাজ করতে তাড়া দেয়ার পক্ষে নই। ব্রিটেনের এই বিদায় প্রক্রিয়া নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হওয়ার কথা সেটি ‘নোংরা বানানোর কোনো প্রয়োজন নেই’।
এদিকে ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান কমিশনার লর্ড হিল ইতোমধ্যেই নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কারণ পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে তিনি আর স্বপদে বহাল থাকা যৌক্তিক মনে করছেন না। তবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য তিনি কয়েক সপ্তাহ পরে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপের রাজনৈতিকদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ফরাসি অর্থমন্ত্রী এমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, ইইউকে একটি নতুন রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন বলেন, ইইউয়ের এখন দরকার শক্তি পুনরুদ্ধার করা এবং যেখানে জাতীয় সরকার বেশি শক্তিশালী সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
এদিকে কিছু ব্রিটিশ নাগরিক এখন ভোটের ফলাফল বাতিলের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন। লেবার পার্টির এমপি ডেভিড ল্যামি বলেছেন, পার্লামেন্টের উচিত এই পাগলামি বন্ধ করা এবং এই গণভোট অনুমোদন দেয়া উচিত নয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফা গণভোটের দাবিতে ২০ লাখ সাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে যারা ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন “তোমরা হেরেছ, সুতরাং এটা মেনে নাও”।