ঢাকা নাজমুল হাসান সভাপতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাপনের দাবি, বহুল আলোচিত-সমালোচিত দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক প্যানেলে ম্যানেজারের নিজস্ব কোনো মতামত থাকবে না। তিনি শুধু অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের বার্তাবাহকের কাজ করবেন। আর এতে নাকি খেলোয়াড়েরাও খুশি, এমনকি অধিনায়ক নিজে তাতে কোনো আপত্তি দেখাননি।
সেই, ২০১৩ সাল থেকে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি বেশ ভালোভাবেই কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু ভিতরের খবর হলো- দল গঠন নিয়ে নানা সময়ে নানা সমস্যা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া- নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে বলেছিলেন, সেরা দলটি পাননি, পেলে আরো ভালো করা যেত। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে সবসময়ই কথা বলেছেন হাতুরুসিংহে। সেই দাবি মেনেই কোচকে নির্বাচক কমিটিতে জায়গা দেয়া।
কিন্তু, কোচের পছন্দ নিয়েও নানা সময়ে কথা উঠেছে। নির্বাচক কমিটিতে না থেকেও দল নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছেন তিনি। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোচের অপন্দের কারণেই পরীক্ষিত অল রাউন্ডার নাসির হোসেন উপেক্ষিত থেকেছেন।
অথচ, টানা ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও এবং অধিনায়ক মাশরাফির পছন্দ উপেক্ষা করে গড়পড়তা মেধার মোহাম্মদ মিথুনকে একাদশে রাখা হয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে কোচের উপর বিরক্ত ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু কোচকে সাধারণত ভয় পান অধিনায়ক, সহ-অধিনায়করা। যে কারণে তাদের পছন্দ নিয়ে শক্ত অবস্থান দূরের কথা মতামতটুকুও দিতে চান না তারা।
নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পছন্দ-অপছন্দ এবং মতামত কোচের কাছে পৌঁছে দিবেন ম্যানেজার। এ প্রসঙ্গে বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হেড কোচ হচ্ছেন বিদেশি। আমি বেশ কবার টিম মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে লক্ষ্য করেছি দল নির্বাচন, গেম প্ল্যান, লক্ষ্য-পরিকল্পনা এবং একাদশ সাজানোয় কোচের সামনে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটাররা টু শব্দটি করেন না। তাদের সঙ্গে চিন্তা-চেতনা ও লক্ষ্য-পরিকল্পনায় কোচের মতের ফারাক থাকার পরও তারা কিছু বলতে পারেন না বা বলেন না।
দেশের বাইরে জাতীয় দলের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়করা বহুবার বোর্ড সভাপতির স্মরণাপন্ন হয়েছেন। সে অবস্থা যাতে না হয়, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের ইচ্ছে, মত ও লক্ষ্য-পরিকল্পনার বিষয়টি যাতে যথা সময় ও ভালোভাবে কোচের কানে পৌঁছে- সে লক্ষ্যেই জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদকে দল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ করা।
ম্যানেজার শুধু অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের মতামতই কোচের কাছে ব্যক্ত করবেন না। তিনি বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করবেন। দল নির্বাচনে যাতে হেড কোচের মতামত পুরোপুরি প্রাধান্য না পায়, তার ওপর খবরদারি ও নজরদারি করার জন্যই ম্যানেজারকে নির্বাচক কমিটিতে রাখা।