বীমা সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেদের বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মৃত্যু হলে তাদের জন্য । এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোন জেলে নিহত বা আহত হলে তাদের এককালীন সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত বা অক্ষম জেলেদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে নিহত জেলে পরিবার বা স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেদের আর্থিক সহায়তা প্রদান নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী মাছ ধরাকালীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- ঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও বজ্রপাতের কারণে ও জলদস্যুদের হামলায় বা বাঘ, হাঙ্গর, কুমির বা হিংস্র জলজ প্রাণীর আক্রমণে নিবন্ধিত নিহত বা নিখোঁজ জেলেকে অনধিক ৫০ হাজার টাকা এককারীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে অথবা উপরোক্ত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেকে অনধিক ২৫ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন জেলেদের নিবন্ধন এবং পূর্বে নিবন্ধিত জেলেদের আইডি কার্ড বিতরণের লক্ষ্যে রাজস্ব খাতে নতুন কোড খোলা হয়েছে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাতে ১০ লাখ বরাদ্দ রয়েছে। জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান নির্দেশিকা ২০১৯ অনুযায়ী নতুন আইডি কার্ড প্রদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রুইজাতীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পাঙ্গাস, কৈ, শিং, মাগুর ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে।