সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের প্রতি অনুরোধ জানান কাদের। রোববার সচিবালয়ে কাদের তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার (শহীদ ইসলাম) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুয়েতে মানব পাচারে যুক্ত বাংলাদেশের তিন পাচারকারীর একজন কাজী শহিদ ইসলাম—এমন খবর কুয়েতি গণমাধ্যমের বরাতে ঢাকার সংবাদপত্রে প্রচারিত হওয়ার পর এই মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কুয়েতের গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই মানব পাচারকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হওয়ার মুহূর্তে তিনি দেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দৈনিক আল কাবাস, এমবিএস নিউজ ও আরব টাইমস—এর প্রতিবেদনে এই কথা জানিয়েছে। তবে কুয়েতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশিদের নাম উল্লেখ না করে বলা হয়, তাদের একজন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত সাংসদের নাম কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল।কুয়েতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়- কুয়েতে একটি ক্লিনিং কোম্পানির সুপারভাইজার থেকে অবৈধভাবে কোটিপতি বনে গেছেন বাংলাদেশি ওই এমপি।
কুয়েত সিআইডির দাবি, অন্তত ২০ হাজার মানুষকে কুয়েতে পাচার করে তার নেতৃত্বাধীন চক্রটি এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশি এমপি কাজ ভাগিয়ে নিতে ৫টি লাক্সারি কার ঘুষ দিয়েছেন। কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আল-কাবাসের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ওই এমপি সাম্প্রতিক সময়ে কুয়েতে একজন মার্কিন বাসিন্দার সঙ্গে আর্থিক অংশীদারি গড়ে তোলেন। কুয়েতে আয় করা বেশির ভাগ অর্থ তিনি আমেরিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন।