সবাই রোহিঙ্গা অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন এলাকায় ট্রলারডুবির ঘটনায় যে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৩ জনকে উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। তারাও রোহিঙ্গা নাগরিক।
সকালের ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
জানা গেছে, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা সবাই নারী ও শিশু। নিহতদের মধ্যে নারী ১২ জন আর শিশু তিনজন।
ট্রলারটিতে প্রায় ১২০জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল রাতে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার করা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে বের হয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক জানান বলেন, ট্রলারডুবিতে নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা। এছাড়া আহতরাও রোহিঙ্গা। এরা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করে আসছিলেন। ওই এলাকার কিছু রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দালালের হাত ধরে সোমবার রাতে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য একটি ট্রলারে করে সাগর পথে রওনা দেন তারা। ছেঁড়াদ্বীপের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয় ট্রলারটি।
জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিদের সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হয়েছে। বিকালের মধ্যে তাদের টেকনাফ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।