মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সব মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে জেলা জজের অধীন । বিচারক স্বল্পতা এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এসব মামলার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ‘সংশোধন’ আইন ২০২০ এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক বিষয়ে জানাতে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) শেখ মুজিবুর রহমান এসব তথ্য জানান। এই আইনের সংশোধনের কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক লাখ ৭৫ হাজার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। তবে ট্রাইব্যুনালের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কেন পিছিয়ে আসা হলো, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি সিকদার জবাবে ব্রিফিংয়ে জানান, বিচারক স্বল্পতার কারণেই মূলত ট্রাইব্যুনাল গঠন না কওে জেলা জজের অধীনে একাধিক বিচারিক আদালতে মামলা পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরো জানান, ট্রাইব্যুনালে বিচার হলে আপিলের জন্য সরাসরি হাইকোর্টে আসতে হতো। এখন জজ কোর্টের অধীন আদালতগুলোতে বিচারপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে সময়ক্ষেপণ হবে না। ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন-২০২০ এর নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই আইনের সফল প্রয়োগে পর্যটন শিল্প বিকাশ, বেকারত্ব দূর, আয় বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হয়। আইনের বলে পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান হবেন একজন সচিব পদের কর্মকর্তা।