তিন কাউন্সিলর প্রার্থী সদ্যসমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অসদুপায়ে জিততে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন । শেষ পর্যন্ত তাদের দুজন বিজয়ী হতে পারেননি । তিনজনেই বুঝতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই প্রতারককে। গ্রেপ্তাররা হচ্ছে, সাইদুল ইসলাম বিপ্লব (৩০) ও পলাশ ইসলাম (২৮)। শনিবার রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ঢাকা উত্তরের তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই চক্রকে গ্রেপ্তার করতে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালানো হয়। একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান নিশ্চিটত হয়ে হাজারীবাগ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইদুল ইসলাম বিপ্লব ও পলাশ ইসলাম দুজনেই প্রতারক।
তারা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ইয়াসিন মোল্লার কাছে পাঁচ লাখ ও জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কাশেমের কাছে সাত লাখ এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ডেইজী সারওয়ারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্ল বিজয় তালুকদার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওসির মোবাইলফোন নম্বর
স্পুফিং করে যোগাযোগ করে পরে নিজেই ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভোটে জেতানোর জন্য
পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করেছে সাইদুল ইসলাম বিপ্লব। তাকে
সহযোগিতা করেছে পলাশ ইসলাম। এ ঘটনায় আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানায় তিনটি মামলা
হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ২৯টি মোবাইল সিম, চারটি
মোবাইল ফোন, নগদ ৪০ হাজার টাকা, ১২০০ ডলার ও একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
২০১৭ সাল থেকে মোট ৮১১ জনের পরিচয় ব্যবহার করে বিপ্লব পুলিশ কর্মকর্তা ও
সচিবসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর স্পুফিং করে লাখ লাখ টাকা
হাতিয়ে নিয়েছে বলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার জানান।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ভোটে জিততে প্রার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।