প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পেয়েছেন প্রতœতাত্ত্বিকরা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে । গত ৭ জানুয়ারি উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হলহলিয়া দুর্গে শুরু হওয়া খননকাজে এ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
রাজবাড়ি দুর্গের ভেতরে একাধিক সুসজ্জিত কক্ষ ও দুর্গের প্রবেশ পথে একটি অনন্য আবাসিক ভবন ও পোড়ামাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া গেছে বলে জানান খননকাজে সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুক মিয়া জানান, ‘সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় এখানে সঠিকভাবে নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে এখানকার প্রাচীন পটভূমি জানার সুযোগ ও প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসও উন্মোচিত হবে। প্রতœতাত্ত্বিক খননের কারণে এই এলাকায় পযর্টকদের আগমন বেড়েছে। খননকাজে প্রতিদিনেই নতুন নতুন কিছু পাওয়া যাচ্ছে।’
এ খননকাজের মাধ্যমে আরও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন খোঁজ পাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক খননে আমরা এ স্থানে প্রাচীন সভ্যতা ও ইতিহাসের নানা প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পাই। এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর মন্ত্রণালয় প্রাচীন সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর খনন ও অনুসন্ধান করে এ ধ্বংসাবশেষ পাই।’
প্রসঙ্গত, হলহলিয়ায় দুর্গ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে খননের উদ্যোগ নেয় প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রথম দফা খননের পর অধিকতর খনন ও অনুসন্ধানের সুপারিশ ছিল। ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হলহলিয়া দুর্গ ও রাজবাড়িকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে। এরপর প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে গত ৭ জানুয়ারি অনুসন্ধান ও খননকাজ শুরু করে।